ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দায়েরকৃত মামলায় জামিন পেয়েছেন বাকি ২৫ কৃষক। কৃষকদের পক্ষে আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত করতে যাবতীয় সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
রোববার (২৭ নভেম্বর) পাবনা আমলী আদালত-২ তাদের এ জামিন আদেশ দেন। ২৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে ১০০০ টাকা জামিননামার শর্তে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
এদিন সকালে পাবনার আমলী আদালত-৩ এ আরও ১২ কৃষকের জামিন দেয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওই ১২ জন কৃষকের জামিন বিষয়ে আসামিপক্ষের ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সুমন, অ্যাডভোকেট কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন ও অ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম মোহন। অন্যদিকে, ২৫ জন কৃষকের জামিনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আইনজীবী হিসেবে নানা পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, অ্যাডভোকেট মীর রাকিব আলম রিজন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব আহমেদ রিটন, অ্যাডভোকেট ফুলমতি, অ্যাডভোকেট এ্যানি, অ্যাডভোকেট করিম এবং অ্যাডভোকেট পান্না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের দায়ের করা ঋণখেলাপি মামলায় ৩৭ জন আসামির মধ্যে ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এর আগে ২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষকের একটি গ্রুপে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে। ঋণখেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তৎকালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
হয়রানি মামলায় ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তার পাশ বই ও জমা স্লিপও রয়েছে। অথচ সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। ফলে তাদের এই হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
মামলায় হয়রানির শিকার কৃষক পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকার কারণে আজ আমাদের স্বজনেরা আইনি সহায়তা পেলেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণমাধ্যমকে ধন্যবাদের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানান।